‘পোশাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সুযোগ নেই, এলে হবে রাজনৈতিক’
বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, বাংলাদেশ শর্ত মেনেই তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে। সুতরাং এ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন। এরপরও যদি যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয় সেটি হবে রাজনৈতিক বিবেচনায়। তখন সরকারের পাশে থাকবে পোশাক ব্যবসায়ীরা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুযায়ী ১০টি শর্তের মধ্যে ৮টি প্রতিপালন করছে বাংলাদেশ। নতুন সংযোজিত দুটি শর্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়া চলমান। পোশাক শিল্পের কারখানায় শ্রম ইস্যুতে শর্ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে না। সুতরাং শ্রমিকের অধিকার নিয়ে পোশাক খাতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সুযোগ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। এমনকি একই ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেখানোর মতো সাহসও নেই দেশটির। তবে রাজনৈতিক ইস্যু বা ভিন্ন স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা দিলে শ্রমিকের ও দেশের ক্ষতি হবে। যা কূটনৈতিক উপায়ে সরকার সমাধান করবে। সরকারের পাশে থাকবে পোশাক ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিকস রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন ।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞার ভয় পাই না। কেননা, এমন কিছুই করিনি যার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। শ্রম ইস্যুতে প্রতিযোগী দেশে চায়নার চেয়েও শ্রম ইস্যুতে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। তবুও নিষেধাজ্ঞা দিলে তার ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, দায়িত্ববান শ্রমিক সংগঠন বা নেতা হলে তিনি কারখানার ক্ষতি করতে পারেন না। ট্রেড ইউনিয়ন নিয়েও ভয় কাজ করে মালিকপক্ষের মধ্যে। ট্রেড ইউনিয়ন মানেই যখন-তখন কাজ বন্ধ করে দেবে! এসব নিয়ে আমরা ভীত। সম্প্রতি যে শ্রমিকদের আন্দোলন হয় তা প্রকৃত শ্রমিকদের ছিল না। তবে প্রশ্ন হলো, কারা ভাঙচুর করল? ভাঙচুরে যারা ইন্ধন দিয়েছেন সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যারা হামলার বাইরে ছিল তাদের মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি।
বিজিএমইএর পরিচালক এএন সাইফুদ্দিন বলেন, পোশাক ব্যবসার শুরুটা ভালো ছিল। শুরুতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে কারখানায় লোক নিয়োগ করা হতো। বিদেশি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও ছিল। এখন তা করা হচ্ছে না। তবে ক্রেতাদের চাহিদা মতো পোশাক বানাতে কমপ্লায়েন্সে আসতে হবে।’
সেমিনারের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের প্রধান রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। এ সময় শ্রম–বাণিজ্য বিশ্লেষক মোস্তফা আবিদ খান , গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি আমিরুল হক আমিন, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ফজলে শামিম এহসান, শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসএপি