হোস্টিং

এখন প্রযুক্তি এর যুগ। আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে কোন প্রযুক্তি এর সাথে সম্পৃক্ত থাকি। কিন্তু সমস্যা হল,প্রতিনিয়ত যে টেকনোলজি এগুলো ব্যবহার করছি ।আমাদের সবার টেকনোলজি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকে না। আমরা কখনো প্রশ্ন করি না যে এই টেকনোলজিটা কেন দরকার,হোস্টিং কি,হোস্টিং কিভাবে কাজ করছে এবং এই যে বেসিক জিনিসগুলো আছে অনেকে এগুলো সম্পর্কে বেশি ধারণা থাকে না।

আমরা আজ কথা বলব ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।আমরা দৈনন্দিন জীবনে সবাই কোন না কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করি।যেমন আপনারা আমার এই ব্লগ টি Techy Nulled ওয়েবসাইটে দেখতে পাচ্ছেন বা পড়তে পারছেন।আবার অনেকেই আমরা নিজেরা ওয়েবসাইট তৈরি করি নিজের জন্য।এবং আমরা ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে আমরা নানা রকমের ট্রাম শুনি।

ডোমেইন,হোস্টিং,

আবার হোস্টিং এর ভিতরে নানা ধরনের জিনিস থাকে, যেগুলো হলোঃ ডাটাবেজ, ওয়েবমেইল, মাইএসকিউএল ডাটাবেজ ,cpanel,Banwith ইত্যাদি।

আবার ডোমেইন এর ভিতরে রয়েছে Subdomain (সাবডোমেইন),Top Level Domain (টপ লেভেল ডোমেইন) এই যে tram গুলো আছে,আমরা কি সবাই জানি আসলে এগুলো কি? এগুলোর পিছনের কাহিনি কি? এগুলো কেন দরকার?
আসলে এই জিনিসগুলো জানা অনেক জরুরী।so,আজকে আমরা কথা বলবো একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে যে যে terms গুলো শুনেন সেই terms গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

what is domain?

ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে আমরা প্রথমে যে নামটি শুনে সেটিকে হচ্ছে Domain. ডোমেইন মানে হচ্ছে ওয়েবসাইটের যে এড্রেসটি থাকে বা যে নামটা থাকে।যেমন: google.com,facebook.com, .org, .net , .xyz ইত্যাদি এরকম অনেকগুলো আছে ।আমরা যে লাস্টে . কম . ওআরজি .xyz এগুলো হচ্ছে ডোমেইন এক্সটেনশন..আবার ডোমেইন এক্সটেনশন বিভিন্ন রকমের হয়,যেমন একটা আছে সাবডোমেইন , এবং টপ লেভেল ডোমেইন ।

আরও পড়ুন: Top 5 Best Music App For Android Free

সাবডোমেইন মানে হচ্ছে ,যদি আপনার একটা ডোমেইন এর ভিতর আর একটা ডোমেইন থাকে(যেমনঃ .blogspot.com , cloud.google.com) .
এর আগে অনেকে দেখেছেন আমরা যখন ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলি তখন থাকে yourname.blogspot.com , yourname.wordpress.com etc.so,এই যে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট এবং ব্লগস্পট সাইট এর একটি সাবডোমেইন ।

টপ লেভেল ডোমেইন TLD
টপ লেভেল ডোমেইন টাই সবচেয়ে বেশি পপুলার যেমন: com,net,org,co।
আপনাদের কি কোন ধারনা আছে পৃথিবীতে কতটি TLD ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে?
কিছু লিস্ট দেওয়া হল– TLD List

হোস্টিং কি?

ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে আমরা যে সেকেন্ড কথাটি শুনে থাকি সেটা হচ্ছে হোস্টিং। ওয়েল হোস্টিং জিনিসটা কি?
ধরুন আপনি একটা ওয়েবসাইটে ভিজিট করছেন www.techynulled.xyz ।সেখানে ঢুকলে আপনি কিছু টেক্সট দেখতে পারবেন ,কিছু ছবি দেখতে পারবেন ,ভিডিও দেখতে পারবেন ।এখন কথা হচ্ছে এইযে মেটারিল গুলো আপনি দেখলেন এগুলো কোথায় রাখা হয়েছে।এই কন্টেন্টগুলি কোনো-না-কোনো ফিজিকাল স্টোরেজে রাখা আছে , সেখান থেকে Acsse করছি ওয়েবসাইটটা ।
আমরা যেমন ফাইলগুলো কম্পিউটারে হার্ডডিস্ক বা মোবাইলের এইচডি কার্ড এ সেভ করে রাখি,So ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো কোথাও রাখা আছে।আমরা সেখান থেকেই ফাইলগুলো acsses করছি।আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারে হার্ডডিস্ক এ ফাইল রেখে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন ,কিন্তু সমস্যাটি হবে কম্পিউটারে যদি ফাইল থাকে কম্পিউটার যেকোনো সময় বন্ধ হতে পারে ,অথবা কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যেতে পারে অথবা কারেন্ট চলে যেতে পারে ।তখন কিন্তু ওয়েবসাইট আই গুলোকে খুজে পাবে না কারন আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে ।

একারণেই কিছু কোম্পানি আছে তারা কিছু কম্পিউটার সেটআপ করে রাখে যেগুলো সব সময় চালু থাকে,এগুলো সহজে নষ্ট হয় না আমাদের রেগুলার কম্পিউটারের মত।
সেখানে শুধুমাত্র কম্পিউটারের পার্টস গুলো থাকেনা বেশিভাগই থাকে স্টোরেজ। সেই স্টরেস গুলোকে রান করার জন্য একটা বা অধিক প্রসেসর থাকে সেখানে।

এখন আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তখন হয়তো এত খরচ করে নিজের কম্পিউটার টা 24X7 চালিয়ে রাখবেন না. কিছু কোম্পানি তাদের কম্পিউটার চালু করে রাখছে সে গুলোকে বলে server. সার্ভারগুলো বিভিন্ন মানুষের কাছে তারা ভাড়া দিচ্ছে ।এগুলোকেই বলে হোস্টিং .

ধরুন একটা কোম্পানি সার্ভার তৈরি করেছে যেখানে 1tb বা 2TB storage রয়েছে।এবং এইযে storage গুলো রয়েছে কোম্পানিগুলো এগুলোকে বিভিন্ন মানুষের ধারে ভাড়া দেয়.কারো কাছে 1GB দিচ্ছে আবার কারো কাছে 50GB দিচ্ছে। এবং আপনি এই কোম্পানির ধারে থেকে storage ভাড়া নিয়ে আপনি আপনার ফাইলগুলো রাখছেন।

এখন আপনার ওয়েবসাইট যদি অনেক বড় হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে রাখার জন্য ফুল একটি ডেডিকেটেড সার্ভার লাগবে।যার জন্য আপনার মাসিক অনেক খরচ হবে।
আরেকটা হচ্ছে শেয়ার্ড হোস্টিং , যেটা আমরা সবাই ব্যবহার করে থাকি কারণ এটি খুবই সস্তা।

ব্যান্ডউইথ কি?

আপনারা দেখবেন হোস্টিং এ সিপ্যানেলে দেওয়া থাকে 10GB শুধুমাত্র এক মাসের জন্য ।ব্যান্ডউইথ গুলো মাস হিসেবে দেওয়া হয়.এখন যদি ব্যান্ডউইথ সম্পর্কে বলতে যায় সহজ ভাষায়,সেটা হচ্ছে ওয়েবসাইটগুলোর কিছু ফাইল থাকে। এই ফাইলগুলোর কিছু Size থাকে ।এগুলো প্রতিবার লোড হলে সেই হিসেবে ব্যান্ডউইথ কমতে থাকে ।

আজকে এই পর্যন্তই। ধন্যবাদ এত সময় আমাদের সাথে থাকার জন্য ।এইরকম ইউজফুল হোস্টিং তথ্য পেতে Techy Nulled ওর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ